Showing posts with label Jokes. Show all posts
Showing posts with label Jokes. Show all posts
Tuesday 10 April 2012
দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-
প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।
দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলেতো।
একবার এক অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি, সাউথ আফ্রিকান আর ইন্ডিয়ান গল্প করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট।
ইন্ডিয়ান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল, স্টাইকার এন্ডে ছিল শচীন। বোলার বল করল, শচীন সেটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩ রান নিল, ফিল্ডার সেটা ছুড়ল নন-স্টাইকার এন্ডে। ওভার থ্রো তে শচিন আরও তিন রান নিয়ে নিল। এবার ফল্ডার সাবধান হয়ে সেটা ছুঁড়ে দিল উইকেট কিপারের দিকে, উইকেট কিপার ধরতে পারল না আর বলটা চলে গেল বাউন্ডারির ওপারে ফলে চার রান। ৩+৩+৪ =১০ আমরা জিতে গেলাম।
সাউথ আফ্রিকান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমদের গ্রায়েম স্মিথকে তো তোমরা চেন। তার গায়ে মারাত্মক জোর। সে এমন জোরে মারল জে বল স্টেডিয়াম পার হয়ে কয়েক শ গজ দূরে গিয়ে পড়ল। আম্পায়ারের কোন উপায় ছিল না। সে ১২ রান দিয়ে দিল। আমরা জিতে গেলাম।
বাংলাদেশি: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমাদের আশরাফুলকে তো তোমরা চেন, সে সেইরকম মারকুটে ব্যাটসম্যান। বোলার বল করল আর আশরাফুল সজোরে ব্যাট চালাল। ব্যাটের আঘাতে বল ভেঙে দুইটুকরা হয়ে গেল। এক টুকরা উড়ে বাউন্ডারি পার হল আর অন্যটুকরা গড়াতে গড়াতে বাউন্ডারি পার হল। ফলে আমরা ৬ + ৪ = ১০ রান করে ফেললাম। আমরা জিতে গেলাম।
চাকর-মনিব মিস্টার এবং মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে পাভেলকে।পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।
বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী পাভেলকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে।তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে পাভেলকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।
"পাভেল, আমার শাড়িটা খোল।" হুকুম করলেন তিনি।
পাভেল কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।
"এবার আমার ব্লাউজ খোল।" বললেন মিসেস চৌধুরী।
পাভেল সেটাও পালন করলো।
এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, "আমার পেটিকোটটা খোল পাভেল ।"
পাভেল খুললো।
মিসেস চৌধুরী পাভেলের চোখে চোখ রেখে বললেন, "আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো!"
আম্পায়ারগুলো সব আমাদের
একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!
গোপাল ভাঁড়
গাধা আর রাজা
রাজা গোপাল ভাড় কে প্রশ্ন করল,গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু?
গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল,বেশি না ,মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান |
খেলাধুলা
গলফ খেলতে গেছে টিনা।
সাঁই করে ব্যাট চালালো সে। তারপর দেখতে পেলো, তার টার্গেটের কিছুটা দূরে এক লোক হঠাৎ কোমরের নিচটা চেপে ধরে শুয়ে পড়লো।
নিশ্চয়ই আমার বলটা ওর ওখানটায় গিয়ে লেগেছে! আঁতকে উঠলো সে। তারপর ছুটে গেলো সেখানে।
দেখা গেলো, লোকটা কোঁকাচ্ছে সমানে, কোমরের নিচটায় হাত চেপে রেখেছে সে।
টিনা বললো, ভয় পাবেন না, আমি জানি কী করতে হবে। খুব ব্যথা করছে?
লোকটা কোনমতে বললো, হ্যাঁ।
টিনা তখন এগিয়ে গিয়ে, বেচারার প্যান্ট খুলে, মিনিট দশেক ম্যাসেজ করে দিলো। তারপর বললো, এখন কেমন বোধ করছেন?
লোকটা বললো, দারুণ, কিন্তু বুড়ো আঙুলটায় এসে বল লেগেছে তো, সাংঘাতিক ব্যথা করছে।
ম্যানেজারঃ তুমি নাকি আলমিরার চাবি আবারও হারিয়েছ?
কেরানিঃ জ্বী স্যার।
ম্যানেজারঃ আগে একটা হারিয়েছিলে তাই এবার তালার সঙ্গে দুটো চাবিই তোমাকে দিয়েছিলাম ।
কেরানিঃ দুটোই হারাই নি স্যার ! একটা মাত্র হারিয়েছি ।
ম্যানেজারঃ তাহলে অন্যটা কোথায় ?
কেরানিঃ হারিয়ে যাবার ভয়ে আগে থেকেই সাবধান ছিলাম। তাই ওটা আলমিররার মধ্যেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম ।
শুধু ওভার টাইম খাটবো
একটি ফ্যাক্টরির মালিক বোঝাচ্ছিলেন তার শ্রমিকদের দশটার পর থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই সাত ঘন্টা খাটলে পর দিন পাঁচ টাকা মজুরি । তারপর যদি কেউ ওভার টাইম করে খাটতে চাও- তাহলে মাত্র পুরো তিন ঘন্টা খাটলে পুরো পাঁচ টাকা দেওয়া হবে । তাহলে স্যার আমরা শুধু ওভার টাইম খাটবো সেটাই ভালো ।
অতিথী
সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় । একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো, মিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতো? যে জোরে কাঁদছিলে। স্ত্রী বললো দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব, হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম ।
ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
চুরির মামলা।
বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো?
--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো।
-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো?
থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু
করে ধরলো।
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ।
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন
এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।
এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?
Subscribe to:
Posts (Atom)