Menu

Monday 18 June 2012

>>> মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের খুঁটিনাটি

একটা সময় এমন ছিল যখন মোবাইল ফোন ছিল শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। তারপর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এটি হয়ে ওঠে আমাদের জীবন যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে মোবাইল ফোন যেন আমাদের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। কিন্তু দুনিয়াজোড়া মানুষের মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে ফেলে স্মার্টফোন! শুধুমাত্র ফোন নয়, পারসোনাল ডিজিটাল এ্যসিস্টেন্স(পিডিএ) আর মোবাইল ফোনের সম্মিলিত রূপই হচ্ছে এই স্মার্টফোন
কী নেই এখানে! পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার, হাই রেজুলেশন টাচ স্ক্রিন ক্যামেরা ফোন, জিপিএস নেভিগেশন, এক্সেলেরোমিটারের মতো সেন্সর, ওয়াই-ফাই আর মোবাইল ব্রডব্যান্ড এক্সেস! সর্বপোরি আছে অ্যাপ্লিকেশন স্টোর এবং মার্কেট থেকে ইচ্ছেমতন অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ – আর এটাই স্মার্টফোন ব্যবহারের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক।
স্মার্টফোনগুলোকে স্মার্ট বলার পেছনের কারন হল পূর্ববর্তী ফিচার ফোনগুলোর তুলনায় এর এডভান্সড কম্পিউটিং ক্ষমতা এবং কানেক্টিভিটি। আরো রয়েছে এর ফাস্টার প্রোসেসিং স্পিড আর বেশ বড় মাপের স্টোরেজ সুবিধা।
আর আজকের এই লেখাটার উদ্দেশ্যই হল স্মার্টফোনের নানা দিক সবার সামনে তুলে ধরা, তবে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয় বরং অনেকটাই ডেভেলপারের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।
স্মার্ট স্মার্টফোনঃ
স্মার্ট ফোনে রয়েছে উন্নত মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম(OS)। যত ধরনের মোবাইল ওএস এখন মার্কেটে রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
• অ্যাপল আইওএস
• গুগল এন্ড্রয়েড
• মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোন ৭
• নোকিয়া সিম্বিয়ান
• রিসার্চ ইন মোশন ব্ল্যাকবেরী ওএস
• পাম ওয়েব ওএস ইত্যাদি।



এ অপারেটিং সিস্টেম গুলো খুব সহজেই বিভিন্ন স্মার্টফোনগুলোতে ইন্সটল করা যায়। আর এর মাধ্যমে তারা একটা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস(এপিআই) ব্যবহার করে বিভিন্ন থার্ড-পার্টি অ্যাপ্লিকেশন রান করতে পারে। তবে মার্কেটে বিভিন্ন ওএস থাকলেও গ্রাহকদের উপর সবার প্রভাব সমান নয়। সেক্ষেত্রে আইওএস আর গুগল এন্ড্রয়েড সবচেয়ে এগিয়ে, বলা যায় প্রায় ৭০ শতাংশ মার্কেট তারাই নিয়ন্ত্রণ করছে।

তবে আলোচনার সুবিধার্তে আজকের বিষয়বস্তু অ্যাপল আইওএসগুগল এন্ড্রয়েডমাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোন ৭; এই প্রধান তিনটি অপারেটিং সিস্টেমকে কেন্দ্র করেই সঞ্চালিত হবে।
মার্কেট ট্রেন্ডঃ
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট একটি ক্রমবর্ধনশীল মার্কেট। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এর মার্কেট প্রসার দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান এতে যোগ হচ্ছে। আর  মার্কেটে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য সবাই সবার সেরাটা নিয়ে হাজির হচ্ছে। এতে নতুন নতুন ভোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে । “রিসার্চ টু গাইডেন্স” এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আগামী ২০১৫ সালনাগাদ মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, ডিস্ট্রিবিউশন এবং এক্সটেনশন সার্ভিস এর এই মার্কেট১০০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে গিয়ে ঠেকবে! গ্রাহকের আগ্রহের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাহিদার যোগান দেয়াই তখন হয়ে উঠবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

rise of mobile application market 

তবে আগে যেমনটা বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এই মার্কেটের প্রায় পুরটাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে আইওএস আরএন্ড্রয়েডের দ্বারা। এ বছরের ২৭ এপ্রিল সানফ্রান্সিস্কোতে হয়ে যাওয়া “অ্যাপনেশন” কনফারেন্সে “নিলসেন” কোম্পানির সিইও, জোনাথান কারসন, বর্তমান সময়ে ইউএসএর মোবাইল গ্রাহকদের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। এতে দেখা যায় মোবাইল অ্যাপ এর মার্কেট ইকোসিস্টেমের পুরোটাই প্রায় নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে অ্যাপল আইওএস আর গুগলের এন্ড্রয়েডের দ্বারা। আরো যেসকল তথ্য উঠে আসেঃ
  • ৩৬ শতাংশ ইউএস মোবাইল গ্রাহক বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন
  • অ্যাপল আইওএস(আই ফোন) এবং গুগলের এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাই অধিকাংশ মার্কেট এবং টোটাল ডাউনলোডারদের ৭৪% এর প্রতিনিধিত্ব করে।
  • অ্যাপল আইওএস(আই ফোন) এবং গুগলের এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মোবাইলে অন্যান্য ব্যবাহারকারীদের তুলনায় অধিক সংখ্যক অ্যাপ থাকে, অ্যাপল আইওএস ব্যবহারকারীদের গড়ে ৪৫ টি এবং এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের গড়ে ৩৫ টি (ব্ল্যাকবেরী রিম ব্যবহারকারীদের জন্য এই সংখ্যাটি গড়ে ১৫টি)
  • আইফোন ও এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা তুলনামূলক অধিকসময় তাদের অ্যাপ ব্যবহার করেন; ৬৮ শতাংশ আইফোন ও ৬০ শতাংশ এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারী দিনে একাধিক সময় মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন যেখানে ব্ল্যাকবেরী রিম ব্যবহারকারীদের জন্য এই সংখ্যাটি ৪৫ শতাংশ।
বিভিন্ন ওএসের মার্কেট শেয়ারের তুলনামূলক চিত্র 

প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থেকে বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটে এখনো বেশ  খানিকটা এগিয়ে আছে অ্যাপল। মার্কেটের অন্য যেকোন প্রতিদ্বন্দীর তুলনায় অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা অত্যধিক। অ্যাপলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দী এন্ড্রয়েডের এ্যপস্টোরে অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা মাত্র ২০০,০০০ যেখানে অ্যাপলের রয়েছে ৪২৫,০০০! তাছাড়া, গত বছরের তুলনায় অ্যাপলের গড় অ্যাপ রেট ১৪% বেড়ে $১.৪৪ এ উঠলেও “Gene Munste” এর এ্যনালিস্ট“Piper Jaffray” এর মতে অ্যাপ বিক্রয়ের হার বেড়েছে ৬১%, অর্থাৎ গত বছর যেখানে একজন ব্যবহারকারী যেখানে ৬৩ টি অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলেন, এবছরে তিনি করছেন ৮৩ টি!
তবে শ্রেষ্ঠ্যত্বের প্রতিযোগীতায় এন্ড্রয়েড ও কিন্তু পিছিয়ে নেই। খুবই সাম্প্রতিক(সেপ্টেম্বর ২০১১) এক রিপোর্টে “রিসার্চ টু গাইডেন্স” আগস্ট মাসের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে বলেঃ
  • আগস্টের শেষের দিকে এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনগুলো গড়ে $২৫০০ ডলার আয় করে তাদের পাব্লিশিং এর পর থেকে।
  • আবহাওয়া সম্পর্কিত অ্যাপগুলোই ডাউনলোড থেকে সবচাইতে বেশি রেভিনিউ জেনারেট করে।
  • এন্ড্রয়েড মার্কেট এর অ্যাপ ডাউনলোড ৬ বিলিয়নে পৌঁছেছে।
  • আগস্টের শেষে এন্ড্রয়েড মার্কেটে অ্যাপ ছিল ২৭৭,২৫২ টি।
  • এন্ড্রয়েড এপের গড় বিক্রয় মূল্য দাঁড়িয়েছে $৩.১৩ ডলারে।
অ্যাপস্টোর এনালিটিকস “Distimo” তাদের লেটেস্ট রিপোর্টে প্রাইসিং এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মোবাইল প্লাটফর্মের তুলনামূলক চিত্র প্রকাশ করেছে। “Distimo” ‘র পর্যবেক্ষণ অনুসারে এন্ড্রয়েড মার্কেটে বর্তমানে যেখানে ১৩৪,৩৪২ সংখ্যক ফ্রি অ্যাপ আছে, অ্যাপলের আইফোন স্টোরে সেখানে আছে ১২১,৮৪৫ টি। অন্যদিকে, এন্ড্রয়েডের পেইড অ্যাপের সংখ্যা অ্যাপলের আইফোনের তুলনায় মাত্র এক তৃতীয়াংশ।
তবে এতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই যে উইন্ডোজ মার্কেটপ্লেসই হচ্ছে সবচাইতে দ্রুত বর্ধনশীল অ্যাপস্টোর। কারন, বাস্তবেই উইন্ডোজ মার্কেটপ্লেসের বৃদ্ধির হার মার্চ,২০১১ তে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮%, যা কিনা এ্যপল কম্পিউটার এর ব্র্যান্ড নিউ ম্যাক স্টোরকেও ছাড়িয়ে গেছে!
অ্যাপলের অ্যাপস্টোর যদিও এখন পর্যন্ত অ্যাপের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচাইতে বড়, তুলনামূলক গ্রোথ রেট অনুযায়ী এর বৃদ্ধির তুলনামূলক হার সবচাইতে কম। সবচাইতে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল “Distimo মনে করে এই গ্রোথ রেট অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ মাসের মধ্যে এন্ড্রয়েড, অ্যাপের সংখ্যায় আইফোনকেও ছাড়িয়ে যাবে!

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের তুলনামূলক মার্কেট 

অ্যাপ্লিকেশন ট্রেন্ডঃ
সমীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ মানুষই দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি কাটাবার উপায় হিসেবেই  মোবাইল/  স্মার্টফোনকে বেছে নেয়। তথ্যে পাওয়া গেছে একজন মানুষ যদি গড়ে ৫৬ মিনিট মোবাইল অ্যাপ ইউজ করেন, তবে তার ৬৭% ই হয় নেটিভ অ্যাপ্লিকেশন তথা প্লাটফর্ম স্পেসিফিক এবং টপ ৫০টি অ্যাপেই তারা তাদের ৬০% সময় ব্যয় করেন। সমীক্ষা থেকে আরো পাওয়া গেছে গেইমস আর এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপগুলোই এখন মার্কেট দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। “অ্যাংগ্রি বার্ড”, “কাট দা রোপ” এর মতো গেইমস গুলোর অকল্পনীয় ব্যবসায়িক সাফল্যের পরে এ নিয়ে আর সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
তুমুল জনপ্রিয় “অ্যাংগ্রি বার্ড”,  ফিনিশ গেমস ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান Rovio Mobile এর তৈরি করা।প্রাথমিক ভাবে আইফোনের জন্য তৈরী করা হলেও বর্তমানে মোটামুটি সব মোবাইল প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়। অ্যাপলের স্টোরে গেমসটির এ পর্যন্ত ১২ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে! এন্ড্রয়েডের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাউনলোড হয়েছে ১০ লক্ষ বার! সব ধরনের প্ল্যাটফর্মে এ গেমসটি ডাউনলোড করার পরিমাণ ৩৫০ মিলিয়ন!



আর রাশিয়ান গেমস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ZeptoLab নিয়ে আসে “কাট দা রোপ”।
আইফোন এবং এন্ড্রয়েড দুই ভার্সনেই পাওয়া যায় সাড়া জাগানো এই গেমসটি। রিলিজ হওয়ার মাত্র নয়দিনের মাথায় এটি বিক্রি হয় ১ মিলিয়ন কপি। আইফোনের অ্যাপ স্টোরে  এটি সবচেয়ে দ্রুত এ মাইলফলক স্পর্শ করে।
জুলাই মাসে প্রকাশিত নিলসেন এর রিসার্চ অনুযায়ী  ৯৩% এ্যপ ডাউনলোডার তাদের গেইমস এর জন্য অর্থ খরচ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন যেখানে নিউজ অ্যাপের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ৭৬%।
শুধু তাই নয়, ডাউনলোডকৃত অ্যাপের মাঝে গেইমের সংখ্যা যেমন তুলনামূলক বেশি, তেমনি গেইমের পেছনে গড়ে সময়ও অধিক ব্যয় হয়েছে।

গেইম অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের তুলনামূলক চিত্র 

তবে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকার জন্য মোবাইল অ্যাপগুলোকে সামনের দিনগুলোতে আরো বৈচিত্র নিয়ে হাজির হতে হবে। গার্টনারের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে ২০১২ সালের প্রত্যাশিত অ্যাপের ধরন সম্পর্কে এরকমই আশাবাদ করা হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে যে সমস্ত অ্যাপ কনজুমারদের পছন্দের   তালিকার শীর্ষে থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-
  • লোকেশন বেসড সার্ভিস:
    আগামী দিনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে লোকেশন বেসড সার্ভিসের একটি প্রভাব দেখা যাবে। এমনকি গ্রাহকের বয়স, লিঙ্গ, ব্যক্তিগত পছন্দ- অপছন্দ, পেশা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে অ্যাপ্লিকেশন কাজ করবে!
    গার্টনারের মতে ২০১৪ সালের মধ্যে লোকেশন বেসড সার্ভিস ব্যবহার করেন এমন গ্রাহকের সংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।

  • সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং:
    মোবাইলের মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং আগামীতেও এই সংস্কৃতি বজায় থাকবে।
    তাই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর উপর ভিত্তি করে তৈরী করা অ্যাপ্লিকেশনের ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল ।


  • মোবাইল ভিডিও:
    স্মার্ট ফোনের সাথে থাকা ক্যামেরা দিন দিন উন্নত হচ্ছে, এই ক্যামেরা ব্যবহার করে আগামী দিন গুলোতে নিত্য নতুন অ্যাপ্লেকেশন দেখা যাবে।

  • অবজেক্ট রিকগনিশন:
    গ্রাহকের পারিপ্বার্শিক অবস্থা বুঝতে পারবে, এমন হ্যন্ডসেট এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এই অবজেক্ট রিকগনিশন সুবিধা সম্বলিত অ্যাপ্লিকেশন সামনের দিন গুলোতে চলে আসবে।


  • মোবাইল পেমেন্ট:
    মোবাইলের মাধ্যেমে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ অতীতে যে কোন সময়ের তুলনায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সম্পর্কিত বিভিন্ন সফটওয়্যারের ব্যবহারও বেড়ে যাবে বহুগুন।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটঃ সমস্যা এবং সম্ভাবনা
বাংলাদেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মতো অনেকেই একে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শুরু করার জন্য সেরকম কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না বিধায় এটি এন্টারপ্রেনারদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে খুব সহজেই। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণে এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।
তবে বাংলাদেশ কে আদৌ এর মার্কেটপ্লেস এ পরিনত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে অনেকের মধ্যে। একাংশ মনে করেন বাংলাদেশ এখনো মার্কেট হিসেবে তৈরি না। এর কারন হিসেবে তারা বলেন, মার্কেটপ্লেস হিসেবে আত্মপ্রকাশের জন্য যে পরিমান গ্রাহক প্রয়োজন, আমাদের দেশে এখনো সে পরিমান মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্মার্টফোন পৌঁছায়নি।
তবে দেরিতে হলেও অবশেষে বাংলাদেশের মার্কেটে স্মার্টফোন আসছে। “সিক্স ডিগ্রি কমিউনিকেশন্স লিমিটেড” মার্কেটে নিয়ে আসছে নতুন এন্ড্রয়েড ফোন এনিগমা! এন্ড্রয়েড ওএস ২.২ সহ রয়েছে সিডিএমএ ও জিএসএম এর ডুয়েল মোড সুবিধা। শুধু তাই নয়, শীঘ্রই এন্ড্রয়েড অ্যাপস্টোর ও শুরু করতে যাচ্ছে   “সিক্স ডিগ্রি কমিউনিকেশন্স লিমিটেড”। এ ব্যপারে “সিক্স ডিগ্রি কমিউনিকেশন্স লিমিটেড”  এর ডিরেক্টর হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন , সিক্স ডিগ্রি অ্যাপস্টোর হবে শুধুমাত্র দেশীও ডেভেলপারদের তৈরি একটি এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন স্টোর। সারা বিশ্বে এন্ড্রয়েড এর চাহিদা মাথায় রেখে আমাদের দেশের মানুষকে এন্ড্রেওয়েড এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার পাশাপাশি এন্ড্রয়েড প্লাটফর্মে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টকে আমাদের দেশে জনপ্রিয় করাও এর লক্ষ্য । এছাড়াও এন্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টকে কলেজ ও ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সিক্স ডিগ্রি সারা দেশব্যপী আয়োজন করছে দেশের সর্বপ্রথম এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট কনটেস্ট


তবে আইকোড, বাংলাদেশের কর্ণধার গোলাম মোহাম্মাদ মুক্তাদির এর মত অনেকেই মনে করেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মেধা অনুযায়ী যোগ্যতা গড়ে উঠছে না। এর কারন হিসেবে তিনি বলেন, “প্রথমত, এই ক্ষেত্রে কী কী করা সম্ভব তা অধিকাংশ তরুন জানেনা। তারা নিজেরা শুরু করতে ভয় পায়। মূল কারন শিক্ষকদের অদূরদর্শিতা এবং কাজ ও ব্যবসায় অনাগ্রহ। দ্বিতীয়ত, যারা এসব কাজে জড়িত, তাদের খবর ছড়িয়ে দেয়া হয় না। এই দুটো বাঁধা অতিক্রম করতে পারলে বাকিগুলো তরুন প্রজন্ম নিজেই সমাধান করে নেবে। তাদের শুধু দুনিয়া দেখানো দরকার।
তবে বাংলাদেশ থেকেও এখন বিশ্বমানে কাজ হচ্ছে। বেশ অনেকগুলা বিদেশি কোম্পানিরই ডেভলপমেন্ট টিম রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ থেকেই তৈরি হচ্ছে “ড্রিফট ম্যানিয়া”, “হকি ফাইট”, “মাইক ভি” এর মতো জনপ্রিয় সব গেইম এবং তারা “অ্যাংগ্রি বার্ডস”, “টিনি উইংস”, “কাট দা রোপ” এর মতো তারকাখ্যাতি সম্পন্ন গেইমদের সাথে পাল্লা দিয়ে জায়গাও করে নিচ্ছে টপ চার্টে!


সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের নিজেদের ও কিছু দায়িত্ব কর্তব্য আছে। নিয়মিত ভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার কনটেস্টের আয়োজন করে উত্তরসূরী আর পূর্বসূরীদের মাঝে মেলবন্ধন গড়ে দিতে হবে, ডেভেলপারদের দিতে হবে তাদের কাজের উপযুক্ত স্বীকৃতি; তবেই মিলবে অনুপ্রেরণা, আর তৈরি হবে সাফল্যের ধারাবাহিকতা।


Ratrod Studio Inc. এর সিটিও আল-মামুন সোহাগ। এই Ratrod Studio Inc. থেকেই জন্ম হয়েছে “ড্রিফট ম্যানিয়া”, “হকি ফাইট”, “মাইক ভি” এর মতো সব গেইম! 

আলাপচারিতায় আল-মামুন সোহাগ বলেন,
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যত সম্ভাবনা :
আমি মনে করি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যত বেশ উজ্জ্বল। কারণ মানুষ দিন দিন স্মার্ট ফোনের দিকে আগ্রহী হচ্ছে! মোবাইল এখন একই সাথে কমিউনিটিং , সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এবং এন্টারটেইনমেন্ট ডিভাইস! মোবাইল গেমসের এর জনপ্রিয়তা এখন ডেস্কটপ গেমসকেও ছাড়িয়ে গেছে অনেকাংশে! এবং আগামী কয়েকবছরে এই জনপ্রিয়তা আরো বাড়বে।
সেদিক বিবেচনায় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট নি:সন্দেহে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট :
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সারা বিশ্বেই এখন বেশ সম্ভাবনাময়! আমাদের দেশেও তাই! আউটসোর্সিং এর জগতে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এখন বেশ জনপ্রিয়! বাংলাদেশের তরুণরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।এন্ড্রয়েডের উন্মুক্ত বাজারে বাংলাদেশের ডেভেলপাররা সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারেন!অ্যাপল স্টোর এখনও আমাদের দেশে চালু হয়নি। তবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গ্রাহক পেলেও অ্যাপল নিজ উদ্যোগেই তা চালু করবে। আর আমাদের দেশে যেহেতু অনলাইনে লেনদেন এখনও সুবিধাজনক পর্যায়ে যেতে পারেনি, তাই লোকাল মার্কেটের বর্তমান অবস্থা তেমন ভালো নয়। আশা করি, এই সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান হবে।
পেশাদারিত্বঃ
আসলে, মার্কেট যেহেতু অনেক প্রতিযোগীতামূলক, তাই সব সময় মার্কেটের ট্রেন্ড বুঝতে হবে!
গ্রাহকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অ্যাপ্লিকেশন, গেমস এর কথা ভাবতে হবে। প্রোডাক্টের আউটলুক, গ্রাফিকাল ইন্টারফেস যেন ভালো হয় সে দিকে নজর দিতে হবে। একেক রকম ডিভাইসে এক এক ধরনের রেজুলেশন থাকে, তাই এসব টেকনিক্যাল দিক মাথায় রাখলে সে অ্যাপ্লিকেশন সহজেই গ্রাহকের মনোযোগ আকর্ষন করতে পারে।
তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য বলবো, তারা যখন কোন একাডেমিক প্রজেক্ট তৈরী করে, সাথে সাথে যেন সেটিকে একটি প্রোডাক্ট হিসেবেও উপস্থাপন করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে । এর ফলে তাদের মধ্যে প্রফেশনালিজম ধীরে ধীরে তৈরী হতে থাকবে।
দেশে মোবাইল ডেভেলপমেন্টকে জনপ্রিয়করনঃ
প্রথমত, যারা এখন ডেভেলপার আছেন, তাঁরা এগিয়ে আসতে পারেন। তরুণ এবং শিক্ষার্থী ডেভেলপারদের সাথে নিয়মিত আড্ডা, সেমিনার ইত্যাদির মাধ্যমে একটি সুসম্পর্ক তৈরী করা যায়।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীরা নিজেরা বিভিন্ন টীম গঠন করে আইডিয়া শেয়ার করতে পারেন। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ব্লগ, ফোরামে মতামত প্রকাশ করেও অনেক কিছু জানা সম্ভব,
তৃতীয়ত, বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানিগুলো নিয়মিত সফটওয়্যার প্রতিযোগীতার আয়োজন করে একটি শক্তিশালী মোবাইল ডেভেলপার কমিউনিটি তৈরীতে ভূমিকা পালন করতে পারেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো কী ধরণের ভূমিকাঃ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো এক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে সময় উপযোগী কারিকুলাম আপডেট করাটাই হবে শিক্ষর্থীদের জন্য অনেক বড় ধরনের সাহায্য। বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে এধরনের কোর্স অন্তর্ভুক্ত করো হয়েছে! আমাদের দেশে বিশ্বমানের গ্রাফিক ডিজাইনারের অভাব রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আর্ট ইনস্টিটিউট সমূহ আধুনিক কারিকুলাম গ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে পারে।
নতুনদের জন্য পরিকল্পনাঃ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণের কোর্স করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। প্রাথমিকভাবে চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক্সপার্টদের মাধ্যমে ৩-৬ মাস মেয়াদী প্রশক্ষন দেয়ার পরিকল্পনা আছে। সেখান থেকে ফাইনালি ৪০ জন কে বাছাই করে তাদের তৈরি প্রোডাক্টকে মার্কেটিং করা হবে। অর্থাৎ এটা একটা ইনকিউবেটরের মতো কাজ করবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা পেলে এ কাজটি তরান্বিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে কোর্স পরিচালনার এবং একে কন্টিনিউ করার জন্য প্রয়োজন হবে ফান্ডিং এর। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কাম্য।
পাশাপাশি আমাদের দুর্বলতাগুলোকেও সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সেগুলা সমাধানের উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। মার্কেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকার জন্য ভাল প্রোগ্রামিং যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভাল আউটলুক। লুক এন্ড ফিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার প্রোডাক্টের জন্য। এক্ষেত্রে আমরা বাইরের দেশগুলোর তুলনায় বেশ পিছিয়ে রয়েছি। আমাদের কনসেপ্ট ডিজাইনার এবং টেকনিকাল আর্টিস্টের বেশ অভাব রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক খানি উন্নতির প্রয়োজন। নামী দামি অনেক কোম্পনিই একজন ভাল কনসেপ্ট ডিজাইনারের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আমাদের সবার পরিচিত “অ্যাংগ্রি বার্ড” এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

হ্যালো ওয়ার্ল্ডঃ
এখন আমরা আলোচনা করবো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে; কিভাবে শুরু করবো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট। চিন্তার কোন কারন নেই। এখন সেলফ লার্নিং এর যুগ। ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রায় সব বিষয় সম্পর্কেই জানতে পারা যায়। তারপরেও এখানে বিভিন্ন প্লাটফর্মে কিভাবে কাজ শুরু করতে হবে তা জানার জন্য কিছু টিউটোরিয়াল সাইটের উল্লেখ করা হল।
আই ফোনঃ



প্রাথমিক ভাবে iOS শেখার জন্য অ্যাপলের ডেভেলপার ওয়েবসাইট (http://developer.apple.com/) পছন্দ করেন অনেকেই। এখানে রেজিস্ট্রেশনের পর এর ডকুমেন্টস গুলো যে কেউ ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সব সুবিধা পেতে হলে আপনাকে প্রতি বছর১০০ ডলার ফি দিতে হবে।
ইন্টারনেটে আইফোনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার বেশ কিছু বই পাওয়া যায়।
বিনামূল্যে টিউটোরিয়াল সংগ্রহের জন্য আরো কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো,
• iPhone Dev Forums ( http://www.iphonedevforums.com/forum/)
• iPhone Dev SDK (http://www.iphonedevsdk.com/forum/)
• iPhone-Developers.com (http://iphone-developers.com/)
আই ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার জন্য আপনার থাকতে হবে অ্যাপলের কম্পিউটার।
এন্ড্রয়েডঃ
গুগলের Android Developers portal (http://developer.android.com/index.html) ওয়েবসাইটে ডেভেলপারদের জন্য অপেক্ষা করছে প্রচুর পরিমাণে টিউটোরিয়াল, ই-বুক, ইমুলেটর। এবং সব কিছুই বিনামূল্যে।
আগামী বছর গুলোতে এন্ড্রয়েড এর উপর লেখা বেশ কিছু বই প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে। ডেভেলপারদের জন্য এটি নি:সন্দেহে একটি খুশির সংবাদ।
আরো কয়েকটি প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট হলো,
•XDA Developers (http://www.xda-developers.com/)
http://www.anddev.org/
http://developer.android.com/guide/index.html
http://www.androidpeople.com/
http://www.vogella.de/android.html
•এছাড়াও বেসিস এর এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনার, আহসানুল করিম ব্যক্তিগতভাবে বেসিস এর এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর ট্রেইনিং এ কাজ করতে গিয়ে ক্লাসের বিভিন্ন সেশনের যেসব ভিডিও ও পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড তৈরি করেছেন সেগুলো পাওয়া যাবে নিচের লিঙ্কটাতেঃ
http://androidstream.wordpress.com/



তরুণরা কিভাবে মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শুরু করতে পারে এ নিয়ে আমরা কথা বলি বেসিস(বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) এর এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ট্রেইনার এবং Sentinel Solutions Ltd. এর সিইও এবং চেয়ারম্যান আহসানুল করিম এর সাথে। 

কথোপকথনে নিচের বিষয়গুলো উঠে আসে,
মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের প্রয়োজনীয়তাঃ
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে পেশা হিসাবে যথেষ্ঠ সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশে বর্তমানে অনেকগুলো সফটওয়্যার কোম্পানি শুধুমাত্র মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজেদের অবস্থান করে নিয়েছে। বিগত চার বছরে আমরা দেখেছি বেশ কিছু নতুন মোবাইল/স্মার্টফোন প্লাটফরম মোবাইল মার্কেটের সিংহভাগ খুব অল্প সময়ের মধ্যে দখল করে ফেলেছে। যেমন আইফোন, এন্ড্রয়েড ইত্যাদি। বিভিন্ন আকর্ষণীয় ফিচার যেমন জিপিএস, সেন্সর, চমৎকার টাচ স্ক্রীন, সহজে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা ইত্যাদির কারণে এই প্লাটফরমগুলোতে একদিকে ডেভেলপাররা পাচ্ছে তাদের সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটানোর সুযোগ আবার অন্যদিকে ব্যবহারকারীরাও নতুন নতুন মোবাইল গেমস, অ্যাপ্লিকেশন আর ফোনের ফিচার দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে। অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে থাকছে সোশ্যাল ইন্টারেকশনের সুবিধা। ফলে অ্যাপ্লিকেশন বা গেমসগুলো ছড়িয়ে পড়ছে একটা ভাইরাল ইফেক্ট নিয়ে। নতুন মোবাইল প্লাটফরমগুলোর সাফল্য দেখে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পুরনো মার্কেট লীডাররা যেমন ব্ল্যাকবেরী, নোকিয়া বা উইন্ডোজ নিয়ে আসছে নতুন নতুন ডিভাইস। অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার আর ইউজারদের এই ব্যাপক সমাবেশ তৈরি করছে নতুন নতুন বিজনেস মডেলের সুযোগ। যার একটি হল এডভার্টাইজমেন্টের মাধ্যমে ডেভেলপার কোম্পানিগুলোর বাড়তি আয়ের সুযোগ। আইফোন, এন্ড্রয়েড, ব্ল্যাকবেরী, উইন্ডোজ মোবাইল বা নোকিয়া ইত্যাদি কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন মার্কেট বা ডিস্ট্রিবিউশনের সুযোগ থাকায় অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার কোম্পানি গুলোর মার্কেটিং বা প্রচারের সুবিধাও তৈরি হয়েছে। ফলে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উদ্যোক্তারা এগিয়ে আশ্ছে কম খরচে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বা গেমস তৈরি করে সেগুলো থেকে রেভিনিউ জেনারেট করতে।আর একই সাথে কম খরচ আর গুণগত মানের কথা আসলে বাংলাদেশের ডেভেলপাররা তাদের জন্য পারফেক্ট। তাই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেমন- ফ্রিল্যান্সার, ওডেস্ক, ইল্যান্স ইত্যাদি স্থানে খুব দ্রুত বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা এবং ফ্রিল্যান্সার কোম্পানিগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে গুডউইল ও আয়ের দিক থেকে। একই সাথে বিনিয়োগ কম প্রয়োজন বলে নিজস্ব আইডিয়া বেজড প্রোডাক্ট তৈরি করছে তার
গার্টনারের রিপোর্টে আমরা দেখি যে ২০১১ সালের প্রথম তিন মাসে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৪২৯.৮ মিলিয়ন মোবাইল ডিভাইস বিক্রি হয়েছে
আমাদের দেশে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেকে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শুরু করেছেন এবং তারা চমৎকারভাবে প্রতিযোগিতা করছেন সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ডেভেলপারদের সাথে। এমনকি অ্যাপ্লিকেশন মার্কেটগুলোর প্রচুর কিছু টপ অ্যাপ্লিকেশন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশী ডেভেলপারদের প্রচেষ্টার ফসল। তবে বর্তমানে এই মার্কেটগুলোতে গেমসের যে চাহিদা তা মেটানোর মত মানসম্মত টীম আমাদের দেশে খুব বেশি নেই। এর কারণ মূলত প্রোগ্রামিং দক্ষতার অভাব নয়। এখানে ভালো গেম আর্টিস্ট ও কন্সেপ্ট ডিজাইনারের অভাবই বেশি চোখে পড়ে। এই জায়গাটাতে আমাদের মনোযোগ দেয়া দরকার বলে আমার মনে হয়। উদাহরণ হিসাবে আমরা বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল গেম “Angry Birds” এর কথা বলতে পারি। যেকোন মোবাইল গেমস ডেভেলপার আমার সাথে একমত হবেন যে টেকনিক্যালি “Angry Birds” আহামরি কিছু নয়। কিন্তু এর কন্সেপ্ট, প্রেজেন্টেশন আর ক্যারেক্টার ডিজাইন এই সবকিছুর ইউনিক কেমিস্ট্রি গেমটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে গেছে। তবে এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নানান আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছিনিয়ে আনছে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
তরুণ প্রজন্মের প্রস্তুতিঃ
আমাদের তরুণ প্রজন্ম যোগ্যতার দিক দিয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। যেকোন বিষয়ে অল্প সময়ে তারা দক্ষতা অর্জন করে নিতে পারে। এর সাথে শুধু যেটা যোগ হওয়া প্রয়োজন তা হল লেগে থাকার প্রবণতা বা লক্ষে স্থির থেকে চেষ্টা করে যাওয়া।
এখানে প্রস্তুতি বলতে যেটা প্রয়োজন সেটা হল সৃজনশীলভাবে সমস্যা সমাধানের অভ্যাস গড়ে তোলা আর কোনকিছুই অসম্ভব নয় এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করা। সেইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রামিং রিলেটেড কোর্সগুলোতে অল্প অল্প করে ব্যক্তিগত দক্ষতা তৈরি করা যা তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলবে। অবশ্যই সেই সাথে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির নতুন নতুন ঘটনার সাথে আপডেটেড থাকার একটা আগ্রহ থাকতে হবে। কারণ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের টেকনোলজিগুলো বলতে গেলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসছে।
এন্ড্রয়েড, আই ফোন না উইন্ডোজঃ
যেকোন মোবাইল প্লাটফর্মই হতে পারে শুরু করার জায়গা। যদিও স্মার্টফোনগুলোর মধ্যে আইফোনের শীর্ষস্থান এখনো অক্ষুণ্ণ, কিন্তু আমরা বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে দেখতে পাই যে এন্ড্রয়েড এবং উইন্ডোজ ফোন খুব দ্রুত হারে বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে।
গ্রোথ রেট চিন্তা করলে ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এন্ড্রয়েডের কথাই বলব। কিন্তু সবদিক থেকে এখন পর্যন্ত আইফোন ডেভেলপাররাই চাহিদা আর অর্জনের দিক থেকে এগিয়ে। সেই সাথে আরেকটি মতামত হল শুধু এক প্লাটফর্মে নিজেকে সীমাবদ্ধ না রেখে বেশ কয়েকটা প্লাটফর্মে দক্ষতা অর্জন করা উচিত। এন্ড্রয়েড প্লাটফর্ম হতে পারে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট শুরু করার জন্য আদর্শ। এর কারণ এই প্লাটফর্মে খুব দ্রুত একজন নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারে। তাছাড়া বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যের ডিভাইস পাওয়া যায় বলে শুরু থেকেই এন্ড্রয়েড ডেভেলপাররা নিজেদের এপ্লিকেশনগুলো মোবাইলে টেস্ট করতে পারে যা মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের জন্য খুব জরুরী। এছাড়া প্রচুর ওপেন-সোর্স রিসোর্সও এন্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। এটি একটি বাড়তি সুবিধা।
নতুনদের জন্য পরামর্শঃ
নতুন যারা এই পেশায় আসতে চায় তাদের প্রতি আমার উপদেশ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মানসিকতা আর যেটা করব সেটাকে ভালোবাসা- এই দুইটা ব্যাপার খুব জরুরী। ভালোলাগা না থাকলে মার্কেটের চাহিদা দেখে কাজে নেমে পড়লেই যে সাফল্য আসবে তা নয়। আর সবসময়ই নতুন কিছু করা এবং প্রতিবন্ধকতাকে সুযোগ হিসাবে দেখার দৃষ্টভঙ্গি অর্জন করতে হবে। উপদেশ হিসাবে অনেক কিছু বলা যায়। কিন্তু সাফল্য সবার একভাবে আসে না। পরিশ্রম করলে তার ফল পাওয়া যাবেই।এমনকি ব্যর্থতা এনে দেবে অভিজ্ঞতা আর শেখার সুযোগ।এই কথাগুলো যেকোন পেশার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
টিমওয়ার্কঃ
টিমওয়ার্ক ছাড়া খুব বড় কোন কাজ করা কঠিন। একটা টিমে একেকজন একেকটা রোল প্লে করে। কেউ প্রজেক্ট ম্যানেজ করে, কেউ সল্যুশন আর্কিটেক্ট এর কাজ করে, কেউ শুধু কোডিং করে আবার কেউ কেউ থাকে যারা যেকোন ব্লকিং ইস্যু সল্ভ করে ফেলে। বিভিন্ন গুণের মানুষদের সমন্বয়ে তৈরি হয় একটা আদর্শ টিম। কিন্তু সেখানে থাকতে হবে একের প্রতি অন্যের শ্রধা, সহানুভূতি, সততা আর আন্তরিকতা। কাউকে নেতৃত্ব দিতে হয়- লক্ষ্য রাখতে হয় টিম যেন সমষ্টিগত লক্ষ থেকে বিচ্যুত না হয়। চমৎকার ইন্টার-পারসনাল কমিউনিকেশন আর নেতৃত্ব থাকলে একটা টিমকে কেউই আটকে রাখতে পারে না। যেকোন সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য।
উইন্ডোজ ফোন:


উইন্ডোজ ফোন এর বয়স খুব বেশি না হলেও অনেক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে ডেভেলপারদের সামনে। অন্য যে কোন সফটওয়্যার কোম্পানীর চেয়ে মাইক্রোসফট বর্তমান আর ভবিষ্যৎ ডেভেলপারদের অনেক বেশি উপকরণ যোগান দেয়। অনিচ্ছাকৃতভাবেই হাস্যকর হোক বা না হোক, স্টীভ বলমারের বিখ্যাত বক্তৃতা “Developers, Developers, Developers” সত্যি হতে খুব একটা দেরি নেই।
উইন্ডোজ ফোন ৭ এখনো শিশু অবস্থায় আছে আর এর প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সমন্বিত করা হচ্ছে। এজন্য নতুন প্রোগামারদের এটা নিয়ে কাজ করার আগে ভালো প্রস্তুতি দরকার। তবে যদি C#, .NET, সিলভারলাইট কিংবা WPF নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তবে উইন্ডোজ ফোন ৭ এর জন্য অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করাটা খুবই সহজ হবে।
প্রয়োজনীয় লিঙ্কঃ

কনসেপ্ট ডিজাইনিং :
কনসেপ্ট ডিজাইনার হতে গেলে প্রথমেই যা দরকার, তা হল যাবতীয় কম্পিউটারের ইলাস্ট্রেসন সফটওয়্যার প্যাকেজ সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। ফিল্ম ইমেজারি বোঝার সাথে সাথে প্রোডাক্টের রিকোয়ারমেন্ট ভালভাবে বুঝতে হবে। এজন্য যেসব কি স্কিল থাকা দরকার, সেগুলা হলঃ
• চমৎকার ইলাস্ট্রেশন স্কিল
• কার্যকর কমিউনিকেশন স্কিল
• থ্রি-ডাইমেনশনাল স্পেস এবং পারসপেক্টিভ ভাল করে বুঝতে হবে।
• অন্যদের আইডিয়াকে ইন্টারপ্রেট করার ক্ষমতা থাকতে হবে
• কাজের ক্ষেত্রে ফ্লেক্সিবল হতে হবে, প্রয়োজনে যেকোন জায়গায় পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।
• টিমের সবার সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
আজকাল ইন্টারনেট এ প্রায় সব বিষয়ের উপরই অনেক চমৎকার টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়।
কনসেপ্ট ডিজাইন সম্পর্কে জানার জন্য এমন ভাল কিছু সাইটের লিঙ্ক হলঃ
• http://www.deviantart.com/
• http://wiki.gamedev.net/index.php/Main_Page
http://www.gamedev.net/
• http://layersmagazine.com/category/indesign
http://desktoppub.about.com/od/indesigntutorials/Adobe_InDesign_Tutorials.htm
http://www.gamecareerguide.com/features/455/becoming_a_game_concept_.php

এপ্লিকেশন সাবমিশনঃ
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ, তা হচ্ছে সফল ভাবে অ্যাপ্লিকেশনটাকে মার্কেটে সাবমিট করা। অ্যাপ্লিকেশন সাবমিট করার সময় বেশ কিছু জিনিস খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এখানে শুধু আইওএস আর এন্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে উল্লেখ করা হলঃ
আইটিউনসঃ
• অ্যাপস্টোর কর্তৃক অ্যাপ অনুমোদিত হবার প্রাথমিক সময় ১-৪ সপ্তাহ, পরবর্তী আপডেটের তুলনায় প্রাথমিক সাবমিশন প্রসিডিউর একটু স্লো।
• সাধারণত অ্যাপ আপডেটগুলো অল্প কিছুদিনের মাঝেই অনুমোদন পেয়ে যায়।
• তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেকগুলা অ্যাপ আপডেট সাবমিট করলে, অনুমোদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই একটু ধীর হয়ে পড়ে।
• কোনো কারনে যদি অ্যাপ রিজেক্ট হয়, তাহলেও ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। কেননা অ্যাপলের রিজেকশন লেটারে খুব ভালভাবে উল্লেখ করা থাকে, কোথায় কি ঠিক করতে হবে।
• অ্যাপলের ইন্টারফেস গাইডলাইন খুব ভাল করে পড়তে হবে কারন এ ব্যাপারে অ্যাপল বেশ কড়াকড়ি করে থাকে।
• অ্যাপ সাবমিট করার পূর্বে খুব ভাল করে নিশ্চিত হবে অ্যাপ্লিকেশনে কোনো বাগ নেই, নাহলে রিজেকশন নিশ্চিত।
• কখনোই আনপাব্লিশড কোনো এপিআই ব্যবহার করা যাবে না।
• যদি ইন্টারনেট পেইজ লোদ করার জন্য কোন “UIWebView” ব্যবহার করা হয়, তবে অ্যাপকে ১২+ রেট করতে হবে।
• নরমাল ইউসের ক্ষেত্রে অ্যাপ এ কোন প্রকার অফেন্সিভ কিছু থাকা যাবে না।

থার্ড-পার্টি এন্ড্রয়েড স্টোর(GetJar, Handango, Carrier, ইত্যাদি) :
এক্ষেত্রে ওই স্টোরের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের সাথে সম্পর্কিত লোকজনের সাথে কথা বলার সুযোগ থাকলে কাজে লাগানো যেতে পারে, কারন অনেকক্ষেত্রেই তা অল্টারনেটিভ রেভিনিউ মডেল বা কোন প্রোমোশনাল সুবিধা পেতে সাহায্য করে।
অফিসিয়াল এন্ড্রয়েড মার্কেটঃ
• এন্ড্রয়েড মার্কেট দ্রুত কম্পিউটারাইজড ভেলিডেশনের পর তা পাব্লিশ এর ব্যবস্থা করে।
• তবে এন্ড্রয়েড মার্কেটে টার্গেট ডিভাইস সিলেক্ট করার কোন উপায় নেই। এক্ষেত্রে ডিভাইস ভিসিবিলিটি ওএস ভার্সন আর এপিআই এক্সটেনশনের উপর নির্ভর করে।
• ইউসার অ্যাপ ক্রয়ের পূর্বে তা যাচাই করে দেখতে পারেন
• গুগল “রিমোট কিল” এর মাধ্যমে অ্যাপ ডিভাইস থেকে মুছে ফেলতে পারে।
মার্কেট, চাহিদা, কিভাবে শুরু করতে হবে সবকিছু সম্পর্কেই যখন জানা হল, তখন আর অপেক্ষা কেন? এখন থেকেই শুরু হয়ে যাক মোবাইল এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এ আমাদের নতুন দিনের পথচলা।
সবার জন্য রইলো শুভকামনা।

তথ্য কৃতজ্ঞতাঃ

No comments:

Post a Comment